গত সপ্তাহে দেশটিতে জাতীয় লকডাউন কিছুটা শিথিল করার পর ৪টা মে একথা জানায় পর্তুগাল সরকার৷ দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ওদেমিরা এলাকায় কয়েকশ’ প্লাস্টিকের গ্রিন হাউজ রয়েছে, যেগুলোতে মূলতঃ অভিবাসী শ্রমিকরাই কাজ করেন৷ করোনা মোকাবিলায় ওই এলাকায় স্যানিটারি কর্ডন মোতায়েন করা হয়েছে৷
ওই অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ দু’টি প্যারিশে (চার্চ দ্বারা পরিচালিত এলাকা) জনগণের প্রবেশ এবং বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ এর মধ্যে সাও তিওতোনিওতে গত ১৪ দিনের মধ্যে এক লাখ মানুষের মধ্যে এক হাজার ৯১০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওদেমিরাতে একটি ইকো রিসোর্টকে কোয়ারান্টিনের জন্য অস্থায়ীভাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে আসা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের এই রিসোর্টে আইসোলেশনে রাখা হবে৷ আর যারা করোনা আক্রান্ত হবেন, তাদের স্থানীয় লজে পাঠানো হবে৷
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদুয়ার্দো সারব্রিতা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘‘অভিবাসীদের জনস্বাস্থ্যকে আমরা প্রাধান্য দিচ্ছি৷ আমি চাই পর্তুগালে যারা কাজ করতে এসেছেন তারা অভিবাসী পর্তুগিজদের মত সমান অধিকার পাবেন৷’’
এই অভিবাসী শ্রমিকদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পূর্ব ইউরোপের দেশ থেকে এসেছেন৷ তারা ছোট ছোট কোয়ার্টারে গাদাগাদি করে থাকেন৷
প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা বলেছেন, ‘‘অভিবাসীরা যেভাবে থাকে, তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন’’।
তবে অধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গত কয়েক বছর ধরে কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের সমস্যাগুলো এড়িয়ে গেছে৷ বেতন না পাওয়া থেকে শুরু করে বৈধ কাগজপত্র না দেয়া এমন নানা ইস্যু তারা তুলে ধরেছিলেন, যেগুলো সুরাহা পর্তুগাল কর্তৃপক্ষ এতদিন করেননি৷
সীমান্ত এবং অভিবাসন সহায়তা সংস্থা (এসইএফ) গত চার বছরে এমন ১৩৪ জন ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছেন, যাদের মানবপাচারকারীরা ওদেমিরার আলেনএও এলাকায় এনেছে এবং এদের উপর শোষণের অভিযোগ রয়েছে৷
ওদেমিরার পাবলিক প্রসিকিউটার অফিস জানিয়েছে, ওই এলাকায় শ্রমিক শোষণের অভিযোগে ১১ টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে৷
এপিবি/এমএইউ (রয়টার্স)